পর্দার অন্তরালে চলে গেল যে নায়িকা

নিউজ ডেস্ক: একটা সময় রূপালি পর্দার আলোর ঝলকানিতে কাটতো তার রঙিন সময়। লাইট, ক্যামেরা, ট্রলি, ক্রেন এসবে ঘেরা থাকতো চারপাশ। আনন্দ-উল্লাসে গ্ল্যামার দুনিয়া তিনি মাত করতেন রূপের জাদুতে। আর সেই তিনি এখন নিজের রূপ দেখাতে চান না কাউকে! সত্যিই সময় মানুষকে বদলে দেয়।  

যিনি এক সময় পরতে পছন্দ করতেন বোল্ড আর হট লুকের ড্রেস, তিনিই এখন বোরকার আড়ালে নিজেকে ঢেকে রাখেন সারাক্ষণ। পাঠক হয়তো ভাবতে পারেন কোনো গল্পের চরিত্র এটি। মোটেও তা না। এ গল্প বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক উঠতি নায়িকার গল্প। যদিও এখন তাকে সাবেক নায়িকা বলাই ভালো। কারণ চলচ্চিত্র পাড়া থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছেন তিনি। বদলে ফেলেছেন নিজের নাম-ধামও। 

পাঠক নিশ্চয়ই ধরতে পারছেন কার কথা বলছিলাম এতক্ষণ? হ্যাঁ, সেই আলোচিত নাজনীন আক্তার হ্যাপির কথা বলছি। ‌হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ্ বইটি লিখে সম্প্রতি তিনি বেশ আলোচনায় আছেন। ধর্ম কর্ম পালন করেই এখন সময় কাটে তার। তিনি কওমী মাদ্রাসায় পড়ছেন বলেও জনা যায়। হ্যাপির বর মিরপুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তাই তো তিনি তার পুরো লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ফেলেছেন। 

বর্তমানে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্মের নানান নিয়ম কানুন প্রচার করে থাকেন। নারীদের পর্দা বিষয়ে সচেতন হতে নিয়মিত স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায় তাকে। পর্দা নিয়ে তার সাম্প্রতিক একটা স্ট্যাটাস ছিল এমন, ‌'যারা খাস পর্দা করতে চান কিন্তু খাস পর্দা করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পাচ্ছেন না তারা এই অনলাইন শপটা থেকে কিনতে পারেন। আর সত্যি কথা হলো, বাজারে বাহারি বোরখা,হিজাবের অভাব নেই। কিন্তু শরঈ পর্দার জন্য কিছুই পাওয়া যায় না। গুনাহের দিকে সবাই ডাকে, আর যারা গুনাহ থেকে বাচঁতে চায় তারা চেষ্টা করেও বাচাঁর রাস্তা খুঁজে পায়না। যারা পর্দা করতে চায় আল্লাহ যেন তাদের জন্য সহজ করে দেন।' 

অন্য একটি পোস্টে বোরকা পরা একটি ছবি আপ করে হ্যাপি লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আমার পর্দা আমার সৌন্দর্য।’ 

হ্যাপি এখন বোরকা পরেই সবখানে যাতায়ত করেন। বোরকা পরা অবস্থায় এক রহস্যময়ী নারীর মতো বেশ কিছু ছবি তিনি তার ফেসবুকে আপ করে রেখেছেন। দেখে চেনার উপায় নেই এই সেই গ্ল্যামার কন্যা হ্যাপি। নিজের পুরাতন সব ছবিও ফেসবুক থেকে ডিলিট করে ফেলেছেন তিনি। 

উল্লেখ্য, জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচনায় আসেন বাংলা সিনেমার নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। এমনকি বিশ্ব মিডিয়ায়ও উঠে আসে হ্যাপি-রুবেলের প্রসঙ্গ। আর এসব থেকে এখন হাজার মাইল দূরে আছেন হ্যাপি। নতুন এক দুনিয়ার বাসিন্দা তিনি। এ কারণেই হয়তো মুনীর চৌধুরী লিখেছেন, ‘মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়।' 

হ্যাপির এই ছবির সঙ্গে তার বর্তমান লাইফ স্টাইল ও পোশাকের রাত দিনের পার্থক্য। ছবি: সংগৃহীত।
স্টাইল হিল/এসএইচ
Labels:fashion,science

Post a Comment

[blogger][facebook][twitter][disqus]

sytle hill

{facebook#https//www.facebook.com/sahadatsayeed} {twitter#https//www.twitter.com/sahadatsayeed} {google-plus#https//www.google_plus.com/sahadatsayeed} {pinterest#https//www.pinterest/sahadatsayeed} {youtube#https//www.youtube.com/sahadatsayeed} {instagram#https//www.instagram.com/sahadatsayeed}

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget