ইদানীং আমার ঠোঁটে তীব্র কালো দাগ দেখা দিয়েছে। অথচ আমি ধূমপান করি না। রোদেও যাই খুব কম। এর কি অন্য কোনো কারণ আছে?
হয়ত জেনেটিক বা বংশগতিগত কারণে আপনার এই সমস্যা হয়েছে। সমস্যার সমাধানে প্রতিদিন ঠোঁট ঘষে ঘষে কালো চামড়া তুলে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করুন আজই। প্রতিদিন দাঁত মাজার পর দাঁতের ব্রাশটি দিয়েই আপনি ঘষে ঘষে ঠোঁট থেকে মরা চামড়ার কোষগুলো তুলে ফেলতে পারেন।
তবে কাজটি করতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে ঠোঁটগুলো আবার ছিলে না যায়। ঠোঁটগুলো ঘষা-মাজা করার পর সব সময়ই ঠোঁটে মলমের প্রলেপ লাগিয়ে দিন যাতে তা আর্দ্র এবং কোমল থাকে। মলমের পরিবর্তে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলিও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া প্রতিরাতেই ভালো কোনো মলম লাগিয়ে আপনার ঠোঁটগুলো নিয়মিতভাবে ম্যাসাজ করুন। দিনের বেলায় এসপিএফ ১৫ যুক্ত ঠোঁটের মলম ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিনই এভাবে ঠোঁটের যত্ন নিতে পারেন তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আধা-স্থায়ী ট্যাটুকরণ কৌশল ব্যবহার করে আপনি আপনার ঠোঁটের রং আরো হালকা করতে পারেন।
পুরুষদের সানস্ক্রিন কীভাবে আলাদা? আমি কি আমার স্ত্রীর মতোই কোনো সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারি না?
নারী-পুরুষ উভয়েরই ত্বকের প্রাথমিক চাহিদাগুলো এক। ফলে তাদের সানস্ক্রিনের উপাদানগুলোতেও কোনো ভিন্নতা নেই। তবে পুরুষদের ত্বক নারীদের চেয়ে ২৫% বেশি পুরু। ফলে নারীদের সানস্ক্রিনের উপাদানগুলোর চেয়ে পুরুষদের সানস্ক্রিনের উপাদানগুলো একটু বেশি গাঢ় এবং শক্তিশালী হয়।
কিন্তু লিঙ্গ পার্থক্যের ওপর ভিত্তি না করে বরং ত্বকের ধরনের ভিন্নতার ওপর ভিত্তি করেই ত্বকের প্রসাধনী পণ্য বাছাই করা উচিত। এ ছাড়া সব ধরনের ত্বকের জন্যই প্রযোজ্য- বাজারে এমন কোনো প্রসাধনী পণ্যও নেই। প্রতিটি ব্যক্তির ত্বক এবং জীবনযাপনের ধরনই আলাদা। সূতরাং ত্বকের যত্নেও বিষয়টির প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আপনি কী ব্যবহার করেন, কীভাবে ব্যবহার করেন এবং কখন ব্যবহার করেন এই বিষয়গুলো নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের ধরন যদি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে মিলে যায় তাহলে আপনি অবশ্যই তার সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারবেন।
৩০ বছর বয়সের মধ্যেই বংশ পরম্পরায় আমার পরিবারের লোকদের মাথার চুল পড়ে যাওয়ার ইতিহাস আছে। মাথার চুল পড়া এড়াতে আমি কী করতে পারি?
একজন মানুষ জন্মের সময় তার মাথায় চুলের যতগুলো গ্রন্থিকোষ নিয়ে আসেন মৃত্যু পর্যন্ত তা অপরিবর্তিত থাকে। কোনো ওষুধ বা মাথা কামানোর মতো কোনো কৌশলেই ওই গ্রন্থিগুলোর সংখ্যা বাড়বে না। আর তা ছাড়া চুল পড়া একটি বংশগত রোগ। ফলে আপনি তা থামাতে পারবেন না। তবে বায়োটিন এবং ক্যালসিয়াম প্যান্থোটিনেট সমৃদ্ধ ওষুধ খেয়ে আপনি চুল পড়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে পারেন।
মিনোক্সিডিল ভিত্তিক চুলের চিকিৎসায়ও চুল পড়ার গতি কমানো এবং সাময়িকভাবে চুলের পরিমাণ বাড়ানো যায়। তবে কোনো ধরনের চিকিৎসাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ কার ঠিক না। এ সমস্যার সমাধানে আর যা যা কার যেতে পারে তা হলো, স্থায়ীভাবে মাথা পুরোপুরি কামিয়ে ফেলা, চুল বয়ন করানো বা চুল প্রতিস্থাপন করানো।
আমি নানা ধরনের প্রচুর পরিমাণ প্রসাধনী ব্যবহার করেও চোখের নিচের কালি দূর করতে পারিনি। এর সবচেয়ে ভালো সমাধান কী?
ভালো ঘুম না হওয়া, দেরিতে ঘুমানো, বাজে খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া, দীর্ঘসময় কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে কাজ করা, অনবরত মোবাইল ফোনের ব্যবহার, দীর্ঘ সময় ধরে টিভি দেখা, ডাক্তারের পরামর্শ সত্ত্বেও চশমা না পরা রক্তে নিম্ন মাত্রার হিমোগ্লোবিন এবং মানসিক অবসাদ প্রভৃতি কারণে চোখের নিচে কালি পড়ে।
আপনি নিশ্চয় চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে বাজারে সচরাচর যেসব ক্রিম পাওয়া যায় সেসব ব্যবহার করেছেন। এসবের মধ্যে বেরির নির্যাস থেকে উৎপন্ন কোজিক অ্যাসিড, আরবুটিন এবং অ্যাজেলিক অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদানগুলোর সবই ভালো। কিন্তু আপনার ত্বকে হয়ত সেগুলো নাও কাজ করতে পারে। আপনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী ক্রিমটি বাছাই করতে পারেন। এ ছাড়া ডাক্তার হয়ত ওষুধও দিতে পারে।
আসন্ন শীতকালের জন্য আমি কীভাবে আমার ত্বককে প্রস্তুত করতে পারি?
শীতকালে ত্বকের সমস্যাগুলোর প্রধান সমস্যাটি হলো মুখমণ্ডল এবং শরীরে শুকনো ত্বকের ছড়াছড়ি। শীতকালে এমনকিও চুলও শুষ্ক হয়ে যায়। গোসলের পর পানি শুকানোর আগেই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে পানিটুকু ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দিন। দিনে ও রাতে বেশ কয়েকবার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করুন।
বিশেষ করে হাত, বাহু ও পায়ের যে জায়গাগুলোর ত্বক বেশি শুকিয়ে যায় সে জায়গাগুলোতে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া, ল্যাক্টিক অ্যাসিড, শিয়া বাটার এবং সূর্যমুখি তেল প্রভৃতি উপাদান সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
কারণ এসব উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ত্বককে দীর্ঘসময় ধরে জলযোজিত রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসাগুলো কী?
ব্রণের জন্য : নিয়মিতভাবে প্রতিরাতে মুখে তাজা পুদিনা রস মাখলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক না করেই ব্রণ দূর করা সম্ভব।
তৈলাক্ত ত্বক : এক প্যাকেট মুলতানি মিট্টি এবং গোলাপ জল তৈলক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য একটি ভালো শোষক ও নিরাময় মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।..
Post a Comment