অফিস জীবন কি আপনার কাছে বোরিং মনে হয়?

নিউজ ডেস্ক: গ্রাজুয়েশনের শেষের দিকে এখন ছেলেদের সাথে সাথে মেয়েদেরও মাথায় আসে চাকরীর চিন্তা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আজ সবাই ছুটছে কর্মক্ষেত্রের দিকে । নতুন কিছু শেখার আশায়, নতুন কিছু দেখার আশায়, নতুন মানুষদের সাথে মেশার আনন্দ নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকি। অনেক উত্তেজনা নিয়ে শুরু করি আমরা আমাদের নতুন চাকরী জীবন।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই এই রহস্যময় চাকরী জীবনে চলে আসে একঘেয়েমি। মনে হয় শেষ হবে না এই কাজের পাহাড়। এরচেয়েও খারাপ অবস্থা হয় যখন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে করতে মনে হয় জীবনটাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই কাজের জন্য। ক্লান্তিকর রুটিন মাফিক কাজ, সকালে উঠা রেডি হয়ে অফিস যাওয়া, সারাদিন অফিসে কাটিয়ে আবার বাড়িতে ফেরত আসা। ঘরে ফিরেও শান্তি নেই। ঘরের কাজ ও করতে হয়। অফিস যেখানে ছিল স্বপ্নের মতো ব্যাপার সেটা হয়ে দাঁড়ায় বিরক্তিকর ব্যাপার।

অনেক আপসেট হয়ে গেছেন এই নিত্যনৈমিত্তিক বোরিং কাজ নিয়ে? চাইলেই এই বোরিং কাজের মাঝে খুঁজে নিতে পারেন আনন্দের ছোঁয়া। কিভাবে? চলেন দেখি কিভাবে তা করা সম্ভব। তার আগে কিছু জিনিস আমাদের জানা দরকার তা হলো কেন কাজটাকে আমাদের বোরিং লাগছে। সেই কারণগুলো একসাথে করলে মোটামুটি যা দাঁড়ায় তা হলোঃ

প্রত্যেকদিন অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠতে হচ্ছে অফিসে যাওয়ার জন্য। তবে তার আগে ঘরের কাজ করতে হচ্ছে।
অফিস আর বাসা সামলাতে গিয়ে রাতেও ঘুমাতে দেরি হচ্ছে। তাই সারাদিন ঘুমঘুম ভাব নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
অফিসের কাজ করতে বিরক্ত অনুভব করলে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অফিসের সহকর্মীদের সাথে বিশেষ করে ছেলে সহকর্মীদের সাথে মতের অমিল হচ্ছে বেশি। কাজের চাপ বেড়ে যাচ্ছে। তাই ব্যক্তিগত জীবনে সময়ের অভাব দেখা দিচ্ছে।

এসব খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার যা থেকে বুঝবেন আপনি আপনার কাজে আনন্দ পাচ্ছেন না এবং সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে পারছেন না। তবে আপনি এই ব্যাপারটিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন আপনার অফিসে কাজের অগ্রগতির মাধ্যমে। সেটা যদি একেবারেই খারাপ থাকে তাহলে আপনার উচিত চাকরীটাই ছেড়ে দেওয়া। নতুন কিছু করা যা করতে আপনার ভালো লাগবে। কারণ কাজের প্রতি আগ্রহ না থাকলে সে কাজে কোন ভালো আউটপুট থাকে না। যারা নিজের পারফর্মেঞ্চ নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট তাঁরা সে জায়গায় থেকে নিজেদের বোরিং ভাব দূর করতে পারেন।

সবসময় পজিটিভ মনোভাব বজায় রেখে চলতে চেষ্টা করবেন। কাজের প্রতি পজিটিভ মনোভাব কাজটাকে আপনার কাছে অসহনীয় মনে হওয়া থেকে দূরে রাখবে। কাজে কখনও আলসেমি করা উচিত না। “আজ নয় অন্য কোনদিন” এই ভাবটা কমবেশি অনেকের মধ্যেই আছে। তবে এই ভেবে কাজ ফেলে রাখলে কিছুই হবে না বরং ঝামেলা বাড়বে।
নিজের কাজের বাইরেও চিন্তা করাটা জরুরী। সবসময় শুধু নিজের কাজ নিয়ে থাকলে একটা সময় পর কাজের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে। তাই কাজের পাশাপাশি অফিসের পুরো পরিবেশটাকেও উপভোগ করতে হবে।

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অফিসের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া উচিত । বেশিরভাগ সময়ই মানুষ কাজে অসন্তুষ্ট, হতাশা অনুভব করে কর্মক্ষেত্রের মানিয়ে নিতে না পারলে। কোন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা মানে একটি গ্রুপে কাজ করা। কর্মক্ষেত্রে কলিগদের সাথে একসাথে কাজ করলে কাজের আনন্দ বেড়ে যাবে এবং কাজে একঘেয়েমি লাগা দূর হবে।

মাঝে মাঝে কলিগদের সাথে সবাই মিলে বাইরে খেতে যাওয়া অথবা অফিসেই সবাই মিলে পার্টি করা অফিস জীবনের একঘেয়েমিকে কখন দূরে সরিয়ে দিবে বুঝতেও পারবেন না।

চাকরী যেহেতু করতেই চান সেহেতু সেটাতে একটু রঙের ছটা লাগিয়ে দিয়েই দেখুন না, জীবনের মানেটাই হয়তো পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে আপনার কাছে।
স্টাইল হিল/ এসএস
Labels:fashion,science

Post a Comment

[blogger][facebook][twitter][disqus]

sytle hill

{facebook#https//www.facebook.com/sahadatsayeed} {twitter#https//www.twitter.com/sahadatsayeed} {google-plus#https//www.google_plus.com/sahadatsayeed} {pinterest#https//www.pinterest/sahadatsayeed} {youtube#https//www.youtube.com/sahadatsayeed} {instagram#https//www.instagram.com/sahadatsayeed}

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget