স্টাইল হিল ডেস্ক: ইসলামের আকাশে এক উজ্জল নক্ষত্র হিসসেব মহান আল্লাহ মিজানুর রহমান আজহারীকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যুগে যুগে মহান রাব্বুল আলামিন তার দ্বীনের আলো দুয়িয়ায় ছড়ানোর জন্য এদের প্রেরণ করেন। এরাই হল রাসুল (সা:) অন্যতম যোগ্য উত্তরসুরী। এই ইসলামিক স্কলারের বায়োগ্রাফি জানবো।
জন্ম কুমিল্লা জেলায়। বর্তমানে থাকেন রাজধানীর ডেমরা থানায়।
শিক্ষা জীবনে মিজানুর রহমান আজহারী ২০০৪ সালে দাখিল (এস.এস.সি) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম (এইচ.এস.সি) পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ সহ বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের টপ মেরিট লিস্টে জায়গা করে নেন।
২০০৭ সালে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিশর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় তিনি হাজার হাজার কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে বরাবরের মত ১ম স্থান অধিকার করে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিশরে গমন করেন। সেখান থেকে তিনি "ডিপার্টমেন্ট অফ এন্ড কুরানিক সায়েন্স" হতে ২০১২ সালে ৮০% সিজিপিএ নিয়ে অনার্স পাস করেন।
মিশরে ৫ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর তিনি গার্ডেন অফ নলেজ খ্যাত মালয়েশিয়ার "ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি" থেকে পোস্টগ্রাজুয়েশন করেন এবং এমফিল ও পিএইচডি করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৩ সালে তিনি মালয়েশিয়া গমন করেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের "ডিপার্টমেন্ট অফ কুরআন এন্ড সুন্নাহ স্টাডিস" থেকে তিনি ২০১৬ সালের মধ্যে পোস্টগ্রাজুয়েশন এবং এমফিল শেষ করেন। মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিল আউট অফ ফোরে ৩.৮২। এম ফিলে তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল "হিউম্যান ইমব্রোইউলোজি ইন দ্যা হোলি কুরআন: এ কমপারেটিভ অ্যানালাইসিস বিটুইন তানতাওয়ী জাওহারি এন্ড জাগলুল নাজ্জার'স ইনটারপ্রিটেশন" তারপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ক্যান্ডিডেট হিসেবে মনোনিত হন। "হিউম্যান বিহেভিয়ার ক্যারেকটারস্টিক ইন দ্যা হোলি কুরআন: অ্যান অ্যানালাটিকাল স্টাডি" বিষয়ের উপর তিনি বর্তমানে পিএইচডি গবেষণা করছেন। উল্লেখ্য তার এমফিল এবং পিএইচডির গবেষণার মাধ্যম ছিল ইংরেজি।
এছাড়াও IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এভার অল ৯ পয়েন্টের মধ্যে ৭.৫ ব্যান্ড স্কোর অর্জন করেন।
#জীবনী, #আজহারীর জীবনী, #মিজানুর রহমান আজহারীর জীবনী
স্টাইল হিল/৩০ মার্চ ২০১৯/ এসএইচ
Post a Comment